ফখরুদ্দিন বাবুর্চির জালি কাবাব

ফখরুদ্দিন বাবুর্চির জন্ম ভারতের পাটনায়, কাজের সন্ধানে এসেছিলেন বাংলাদেশে। তারপর ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকায় আসেন এবং ভিকারুননেসা স্কুলে দারোয়ানের চাকরি পান। স্কুল কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ১৯৬৬ সালে স্কুলের ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন। এরপর থেকে শুরু স্কুলের ছাত্রীদের জন্য নাশতা বানানোর কাজ।
তাঁর তৈরি করা খাবার খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই নাশতা থেকে আজ পর্যন্ত কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগীর কোর্মা ও অন্যান্য শত রকমের খাবার দেশ থেকে বিদেশে হাজার মানুষের মন জয় করে চলেছে। রান্নার এই জাদুকর আজ আর বেঁচে নেই। কিন্তু বেঁচে আছে তার সুনাম। তার দেখানো পথে তাঁরই উত্তরসূরিরা আজও আমাদের সবার ঘরে ঘরে তাঁর সৃষ্ট রেসিপির মজার খাবার গুলি পৌঁছে দিচ্ছেন ।
ফখরুদ্দিন বাবুর্চির এই সব অসাধারণ সৃষ্টি আমাদের জীবনে বহুকাল একটি বিশেষ স্থান দখল করে রাখবে। ঘরেই ফখরুদ্দিন বাবুর্চির রেসিপির স্বাদ গ্রহণ করার জন্য তাঁর বিখ্যাত জালি কাবাব রান্না করার পদ্ধতি আজ আপনাদের জন্য দেয়া হলো। যে একবার এই জালি কাবাব খেয়েছেন, তিনি অবশ্যই মনে রাখবেন দীর্ঘদিন। এবার আর মনে করা করি নয়, নিজেই বানিয়ে ফেলুন ফখরুদ্দিন বাবুর্চির বিখ্যাত জালি কাবাব।-
উপকরন
কিমা ১ কেজি
টোস্ট বিস্কিট ১\২ কেজি
দারুচিনি গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
সাদা গোল মরিচ ১টেবিল চামচ
জয়ত্রী পরিমান মতো
পেঁয়াজ আধা কেজি
ধনিয়া পাতা ২৫০ গ্রাম
রসুন ১ টেবিল চামচ
টমেটো সস ১ বোতলের ৩ ভাগের ১ ভাগ
পাউরুটী আধা পাউণ্ড
ডিম প্রয়োজন মত
লবন পরিমান মতো
এলাচি গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
পুদিনা পাতা ৩০০ গ্রাম
কাঁচা মরিচ ২৫০ গ্রাম
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
প্রনালী-
প্রথমে কিমা ভাল করে পরিষ্কার করে তারপর পানি ঝরিয়ে একদম শুকনা করে নিতে হবে। রুটিকে পানিতে ভিজিয়ে পানি ঝরাতে হবে ও পিষে মিহি করে নিতে হব। তার সাথে উল্লেখিত সব মশলা মিশাতে হবে। ধনিয়া, পুদিনা, কাচা মরিচ ইত্যাদি মিহি কিমা করে মেশাতে হবে।
তারপর মাখানো কিমা হতে অল্প অল্প করে নিয়ে তাতে টোস্ট বিস্কিটের গুঁড়া মাখিয়ে চেপটা করে কাবাব বানাতে হবে। এরপর একটি পাত্রে ডিম ভেঙ্গে ফেটে নিতে হবে। তারপর কাবাব গুলো ডিমের মধ্যে চুবিয়ে ডুবা তেলে সুন্দর করে ভাজতে হবে ।
সূত্র- ফখরুদ্দিন বাবুর্চির জীবনী বিষয়ক গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url




sr7themes.eu.org